নড়াইল জেলরা বড়দিয়া বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীদের লক্ষ লক্ষ টাকার সয়াবিন তেল মজুদ রাখায় দেখা দিয়েছে কৃত্রিম সংকট। কিছু কিছু ব্যবসায়ী বাজারের ভিতর আলাদা গোডাউনে মজুদ রেখেছে সয়াবিন তেল।

দেশের প্রতিটি বাজারে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে তেলের বাজারের এ উর্ধ্বগতি বলে মন্তব্য করেছেন সচেতন মহল।

এছাড়া এ সকল মজুদদারদের জাতীয় ভোক্তা আখ্যা দিয়ে দৃষ্ঠান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন তারা।

এলাবাসীর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ০৩ মার্চ (বুধবার) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই বাজারের বড় ব্যবসায়ী নিতাই সাহা তার ব্যবসায়ীক ঘরের পাশেই আরেকটি ঘরে গুদামজাত করে রেখেছে কয়েক শত কার্টুন সয়াবিন তেল ও নিসিদ্ধ ঘোষিত অবৈধ পলিথিন।

এছাড়া বড়দিয়া সংলগ্ন চোরখালী গ্রামে তার নিজের বাড়ীতেও গোডাউন বানিয়ে ওই সমস্ত মালামাল মজুদ রেখেছেন বলে তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন।

ওই বাজারের ব্যবসায়ী শ্যামল দাশের (সুদে শ্যামল) ছেলে মিন্টু দাশ (ইউপি সদস্য) ও তার ভাই সুজিত দাশ ওরফে পটু দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালায় এবং তাদের রয়েছে দুটি বড় গোডাউন।

সেখানেও মিলেছে শত শত কার্টুন সয়াবিন ও অবৈধ ১২ বস্তা পলিথিন এবং খুচরা তেলের বাজার অনুপাতে বোতলজাত তেলের দাম কম হওয়ায় ৫ লিটারের অনুমান ২ শত বোতলের মুখ খুলে খোলা তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চড়া মূল্যে বাজারে বিক্রি করছে।

আরেক অসাধু ব্যবসায়ী সাগর সাহার দোকান ঘরের দোতলায় গিয়ে এবং পাশের টিনসেড গোডাউনে ও দেখা যায় একই দৃশ্য।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত অসাধু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সাংবাদিকদের কথা হলে তারা কোন সদুত্তর দিতে পারে নাই।
পরবর্তীতে তারা সাংবাদিকদের নিউজ না করার জন্য অনুরোধ করেন।

এসময় আরও দেখা যায় ৫ লিটারের তেলের বডি রেট ৭ শত৬০ / আছে কিন্তু দোকানরা ওই তেল ৮ শত ২০ টাকা বিক্রি করছেন। বেশি বিক্রি কেনো করছেন এর উত্তর ও দিতে পারেন নাই ওই দোকানদার।

এবিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোসলিনা পারভীন কে মুঠোফোনে জানানোর জন্য যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এখন আমি মিটিংয়ে আছি পরে কথা বলবো।

এরপরে অনুসন্ধানের বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ জহুিরুল ইসলামকে তাঁর মুঠোফোনে অবহিত করলে, তিনি বলেন, বিকেলে আসার চেষ্টা করবো।